দমহীন দমকলের চরম উদাসীনতা এবং জেলা প্রশাসনের নীরবতা ও মৌনতায় প্রধান প্রধান বানিজ্যিক এলাকায় বিপন্নতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে
প্রদীপ চক্রর্বতী
দমহীন দমকলের চরম উদাসীনতা এবং জেলা প্রশাসনের নীরবতা ও মৌনতায় প্রধান প্রধান বানিজ্যিক এলাকায় বিপন্নতা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। সেই সাথে বিপদের ঝুঁকি বেড়েই চলছে। সাধারণ ব্যবসায়ী ও আবাসিকদের দূঃসহ দূশ্চিন্তায় দিনরাত গুজরান করতে হচ্ছে। প্রশাসনের এই ধরনের ভূমিকায় সাধারণ্যে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা। অজানা আশন্কা থেকে রেহাই পাওয়ার আশা দেখছেন না ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও আবাসিকরা।
রাজ্যের প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র মহারাজগন্জ বাজার সহ তার চারপাশের বানিজ্যিক এলাকা সেন্ট্রাল রোড,চিওরন্জন,রামঠাকুর সংঘ, নেতাজী চৌমুহনীর,গাঙ্গাইল, সেন্ট্রাল রোড, শকুন্তলা রোড এলাকায় বেআইনী ভাবে গজিয়ে উঠা ঢাউস ঠাউস গোডাউন,মজুতভান্ডারে পাইকারী ব্যবসায়ীরা মজুতভান্ডার গড়ে তুলেছে। এক্ষেত্রে পুরসভা, দমকল, এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ও বোধ করেনি ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট অংশ।এরা যেমন দমকলের আধিকারিকদের আমল দেয়নি তেমনি দমকল ও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এভাবেই চলছে। বেড়েই চলেছে গোডাউন,মজুতভান্ডার। মহারাজগন্জ বাজারে অন্তত পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন, এছাড়াও রয়েছে ছোটখাটো ব্যবসায়ী যাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
দমকলের নিয়ম অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন পুরসভা র অনুমতি, দ্বিতীয়ত ট্রেড লাইসেন্স। এগুলো পাওয়ার পর দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট স্হান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রথমেই প্রয়োজন হয় আগুন নেভানোর উপকরনের ব্যবস্থা করা।এটা বাধ্যতামূলক। ফায়ার এক্সটিংগুইজার ব্যবহার করা হয় জরুরী ভিত্তিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেগুলি ব্যবহার করা।আজকাল ছোট-বড়, দোকানপাট, শপিং মল এমনকি বাড়ীঘরেও এগুলো রাখতেই হয়।
কিন্তু পরিহাস বা দূর্ভাগ্য মহারাজগন্জ বাজার এলাকায় এমন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নেই যেগুলিতে আগুন নেভানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা রয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে এগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কিন্তু আইন ,বিধি, নির্দেশ বাজার এলাকায় পরিহাস। অন্যদিকে বিপদের শংকা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে এ বিষয়টি সবিস্তারে প্রকাশিত ও হয়েছে।হলে কি হবে,দমকল যেমন দিবানিদ্রায় তেমনি প্রশাসনের ও কোন ধরনের ভ্রক্ষেপ নেই। একবার যদি কোথাও সর্ট সার্কিট থেকে আগুন যদি লাগে মূহুর্তে জতুগৃহে পরিনত হয়ে যেতে পারে, প্রাণহানি হতে পারে।এমনটাই আশন্কা । আগেতো হরবখত মহারাজগন্জ,বটতলা বাজার,লেক চৌমুহনীর বাজারে আগুনে বহু ব্যবসায়ী সব হাড়িয়ে সর্ব সান্ত। তখন অবশ্য দোকানপাট দালানবাড়ীতে ছিলনা।ছিল না ফায়ার ইন্সুরেন্স। অভিযোগ তখন নাকি বাচাইয়ের কিছু দোকানদার ফায়ার ইন্সুরেন্স করিয়ে নিতেন।কমাস বাদেই আগুন, যথারীতি ইন্সুরেন্স র পরিদর্শন পরে মোটা অংকের প্রাপ্তি। আজকাল অবশ্য প্রায় ৯০ শতাংশ দোকানীর দোকানের ফায়ার ইন্সুরেন্স রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন আবাসিকদের অবস্থা নিয়ে। ওই সব এলাকায় বহু ভাড়াটিয়া রয়েছেন। দূর্ভাগ্য বশতঃ বাড়ীর গোডাউন গুলিতে যেখানে কম্বলের পর কম্বলের পাহাড়,গরম শীত বস্ত্রের স্তুপ সেখানে তো দাউদাউ করে আগুন বিস্তার লাভ করে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সর্বশান্ত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটতে হবে ভাড়াটিয়াদের।চিওরন্জন, এমবিবি রোড,লোটাস ক্লাবের গলি,রামঠাকুর সংঘ ও পশ্চিম অংশে র এমন কোন বাড়ীঘর নেই যেখানে তিন/চার ঘর ভাড়াটিয়া নেই।
তথাকথিত বাড়ীর মালিক ভাড়াটিয়াদের কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়া তো দূরের কথা এদের সমস্যার ও খোঁজ করেনা।এসব "ভাড়াইট্টা"দের খোদার উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন হল এই মারাত্মক স্পর্শকাতর ইস্যুতে দমহীন দমকল কেন নিরব ভূমিকা অবলম্বন করছে?