করোনা পরিস্থিতিতে ত্রিপুরাতে অনুপ্রবেশ একটা ভয়ংকর পরিনতি ডেকে আনছে !
প্রদীপ চক্রবর্তী
ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় এন্তার অনুপ্রবেশ ঘটছে। এই অনুপ্রবেশ প্রতিবেশী বাংলাদেশ, অসম ও মিজোরাম থেকে বেশী।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, মূলতঃ এইসব কারনেই লাগামহীন ভাবে করোনার পারদ চড়ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন রাজ্য সরকার। হাঁফিয়ে উঠছেন চিকিৎসা পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীরা। রাজ্য সরকার একের পর এক প্রতিরোধাত্মক ব্যবস্হা নিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।
সর্বশেষ ব্যবস্হা এন্টিজেন টেষ্ট। এখন থেকে হাসপাতালে গেলেই প্রথমেই করা হবে এন্টিজেন্ট পরীক্ষা। নেগেটিভ হলে শুরু করা হবে মূল রোগের চিকিৎসা। পজিটিভ হলে রেফার হবে ফ্লূ ক্লিনিকে।
বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে অনুপ্রবেশের বিষয়টি রাজ্য সরকার ও ভালভাবেই অবহিত। মূলতঃ এই কারনেই সীমান্তের আধ কিলোমিটার এলাকায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে। জারী হয়েছে জনতা কার্ফু। সীমান্তে বিএসএফ থাকলেও এদের অজান্তেই আদম ব্যাপারীদে্র মাধ্যমেই এই অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে খবর। কৈলাশহর, সোনামুড়া, রইস্যাবাড়ী, শিলাছড়ী থেকে খবর অন্ততঃ এমনটাই। সরকারী কোন স্বীকৃতি বা ভাষ্য নেই। হয়তো থাকবেও না।
সীমান্ত সূত্রের খবর হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে অবৈধ বানিজ্য ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। তেমনি আদমব্যাপারীরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কসবা, মধুপুর, খোয়াইর বেলছড়া, বগাবিল, বাচাইবাড়ী দিয়ে নিত্যদিন প্রচুর লোকজন এপাড় ওপাড় করছে। খবর হল আদম ব্যাপারীরা জনপ্রতি দেড় থেকে দুহাজার টাকা নিচ্ছে পারাপার বাবদ। যদিও বাংলাদেশের করোনা জনিত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবু একশ্রেনীর লোকজন এপার ওপার করছে।
নানা হোটেলে নানাজনের মাধ্যমে নাম পাল্টিয়ে থাকছে। আবার পরিচিত জনের বাড়ীতেও দিব্যি থাকছে। দিন হলেতো গোলবাজারেই এরা ঘোরাফেরা মানে এদোকান ওই দোকানে যাচ্ছে, মালামাল কেনাকাটা করছে বলে খবর। এপার থেকে ওপারে অর্থাৎ আখাউড়া, আশুগঞ্জ, ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় তারা কাকভোরে পারাপার হচ্ছেন। তাঁরা ওখানে দিব্যি ব্যবসা বানিজ্য করে লেনদেন সারছে। দুনম্বরি পথে মালামাল চলে আসছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে করোনা সংক্রমন নিয়ে। এদের মাধ্যমেই করোনা সংক্রমন বাড়ছে বলে খবর। সাধারণ মানুষ তো মরেই যাচ্ছে। কন্টাক্ট এ সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। চিকিৎসা করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না।
অন্যদিকে চোড়াইবাড়ীতে যত চেক চলুক না কেন অন্যদিক দিয়ে এরা এরাজ্যে আসছে।তবে বেশীরভাগ আসছে বরাক উপত্যকা থেকে।নির্মান কাজের জন্য এঁরা আসছে। যত নির্মাণ কাজ চলছে সেসব সাইটে বরাকের শ্রমিকদের রমরমা।এরা পরিচয় দেয় না। মানে সাইটেই এঁরা থাকেন। অভিযান চালালে শত শত বরাকী জালে উঠবে। অন্যদিকে দামছড়া ,কমপুই এড়িয়ে মিজোরাম এর লোকজন জম্পুই চলে আসছে। এদের সনাক্ত করার কোন উপায় নেই।
সব মিলিয়ে এক ঘোড়ালো ও জটিল পরিস্থিতি। সর্বত্রই এক অভাবিত জারীজুরী অবস্থা। অনুপ্রবেশ জনিত সমস্যার কঠোর ভাবে মোকাবেলা না করা হলে গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখে দিতে পারে।