করোনা: এক ভয়ানক পরিনতির দিকে এগুচ্ছে ত্রিপুরা
প্রদীপ চক্রবর্তী
রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমন বাড়ছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমন। এনিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।যদিও চলাফেরায় সতর্কতা নেই, নেই সংযম। রাজ্যের সর্বত্র যে যার ভাবে ঘোরাঘুরি করছে। মাক্সের বালাই নেই। এভাবে চললে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই করোনা সংক্রমনে রাজ্য , জনসংখ্যা ও আয়তনের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য স্হানে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুধু গত 12 জুলাই একদিনে ১০৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। ভয়ংকর অবস্থা। এনিয়ে সাধারন্যে আলোচনা রয়েছে। কিন্তু সংযমতা নেই।শহরে যে যার তার ভাবে চলাচল করছে, তা টমটম, অটোই হোক কিংবা রিকসা হউক। মাক্স ব্যবহার করা যেমন উবেই গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে এক চিত্র। হেরফের নেই বললেই চলে।বাইকারদের কথা উল্লেখ করা না করা সমান কথা।এরা কোন কিছুর ধার ধারে না। মাক্স তো দূরের কথা এরা হেলমেট পড়েই না। ট্রাফিক পুলিশকেও আমল দেয় না। এদের আটকালে বলে 'প্রেস'। শুনেই দৌড়ে উঠে পুলিশ।
এখন করোনা আমাদের রাজ্যে কড়া নাড়ছে না, করোনা থাবা বসিয়েছে। নতুবা শুধু জিরানিয়া মহকুমায় এই সংখ্যা ৬৮ তে পৌঁছাতে পারে না।এ তথ্য তো সাংঘাতিক। এক মহকুমায় ৬৮ জন হলে অন্য মহকুমায় এই সংখ্যা বেশী, বিশেষ করে সদরে। প্রবনতা তথ্য বলছে রাজধানীতে অচিরেই সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। আমাদের রাজ্যে আইন না মানার প্রবনতা বেশ রয়েছে। এটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।কিন্তু এই যে সার্বিক পরিস্থিতি তাতে যে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি একথা অস্বীকার করে লাভ নেই।করোনার মত ভয়ংকর মারনব্যাধি নিয়ে এ রাজ্যে একাংশ ছেলেখেলা চালাচ্ছে তাতো অস্বীকার করার উপায় নেই। পুলিশ তার কাজ করছে, প্রশাসন নানাভাবে আইন লাগু করছে আর জনসাধারণের একটা অংশ জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।এ পরিস্থিতি তো চলতে দেয়া যায়না।পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে।দিন তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আভাষ দিয়েছেন দীর্ঘ লকডাউনের। কিন্তু এতেও কারো উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নেই।লকডাউনে এমনিতেই নানা ধরনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অসুবিধা ডেকে আনে। তদোপরি কালোবাজারী বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। মোটরষ্টান্ড,চন্দ্রপুর, নাগেরজলা, রাধানগরে দেখা যায় উদ্বেগজনক চিত্র, যা নিশ্চিত ভাবেই ইঙ্গিত বহন করছে করোনা গ্রাফ বৃদ্ধির। রাজ্য সরকার বিশেষ করে পুলিশ যদি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে হয়তবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আসবে।আসবে হয়তোবা সতর্কতা।প্রশাসনিক সূত্র বলছে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ঘোষিত হতে পারে অন্তত দিন সাতেকের লকডাউন।