ফের লকডাউনের দিকে যাচ্ছে ত্রিপুরা?
প্রদীপ চক্রবর্তী
সম্ভবত আরো দীর্ঘ মেয়াদি লকডাউনের জন্য ত্রিপুরাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এমনটাই আভাস দিয়েছেন রতন বাবু। যদিও তথ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তিনি নন। তবু তিনিই প্রতিদিন মিডিয়াতে নিউজ ব্রিফিং করছেন। তথ্য দপ্তরের মন্ত্রী আছেন। কিন্তু তিনি সরাসরি কিছু বলেননা যা বলার ওনার ফেসবুকে বলেন। যাইহোক ওটা ওদের অর্থাৎ বিপ্লব বাবুদের ঘরের ব্যপার।
গত ৩০ জুন রতন বাবু জানান, প্রয়োজনে পরিপূর্ণ লকডাউন করতে হবে। এর জন্য প্রস্তুতি আমরা নেব। কেননা এর চেয়ে বড় লকডাউন আমরা ফেইস করেছি। মানে আমরা পালন করেছি। সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে এই লকডাউন। সমগ্র মানব সভ্যতা আজ অস্বিত্বের সংকটে।করোনা মুহূর্তে প্রান কেড়ে নিচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে, নানা জনের। চিকিৎসকদের নাওয়া খাওয়া নেই। এঁরা নিয়োজিত সুস্হতার সেবায়।
এ রাজ্যেও তার ব্যতিক্রম নেই। ত্রিপুরা ছোট রাজ্য। জনসংখ্যা তেমন নয়। কিন্তু তাই বলে করোনা আক্রান্ত কম নয়। দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতো উদ্বেগের। ত্রিপুরাতে স্হানীয়দের মধ্যে সংক্রমন প্রায় নেই। বহি:রাজ্য থেকে আগতদের মাধ্যমে এটা ছড়াচ্ছে। এটা অবাক ব্যাপার। মাইগ্রেন্টদের মধ্যে এত সংক্রমন কিভাবে? তাঁরা রেল বা বিমানে এলই বা কিভাবে? আসার আগে কি ওদের পরীক্ষা করা হয়নি? হয়ে থাকলে এরা এল কিভাবে? রেল বা বিমানে চাপল কিভাবে?
এ প্রশ্ন তো উঠবেই, এবং তা উঠা স্বাভাবিক। সরকারকে এবিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতেই হবে। লকডাউন কিন্তু দীর্ঘ স্হায়ী হতে পারেনা। বিশ্ব বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন।লকডাউন সমাধান নয়। আপাতত সমাধান হতে পারে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এই মহামারী মোকাবেলায় কার্যকরী রুপ হতে পারে। এটা বলছেন বিশেষজ্ঞ রাও। তাই ত্রিপুরা সরকারকে সেই ভাবে এগুতে হবে।