ক্ষমতার অলিন্দে কানাকানি ফিসফিস গুঞ্জন!
প্রদীপ চক্রবর্তী
ত্রিপুরার শাসক বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক সহসাই রাজধানী দিল্লি পাড়ি দিতে যাচ্ছেন। এদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষদীয় নেতা পরিবর্তনের জন্য হাইকমান্ডের সাথে দরবার করা। পরিবর্তনকামীদের একজন বলছেন মূলতঃ দলের ভাবমূর্তি অধিকতর স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল করার জন্যই এদের প্রস্তাবিত দিল্লি অভিযানের মূল লক্ষ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক নেতা বলছেন প্রস্তাব ও যুক্তির সমর্থনে এরা বেশ কিছু নথীপত্র নিয়ে যাবেন। তবে কিসব নথীপত্র তা এঁরা বলতেই চাইছেন না। বলতে চাইবেনই বা কেন? এঁরা আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন না। সব আলোচনা বা উদ্যোগ মুঠোফোনে। তাও এই সব মুঠোফোন এদের নিজের নামে নয়।অনুগতদের নামে এই সব সিম কার্ড।
কয়েকজন বিধায়কের সাথে কথাবার্তা বলে বুঝা গেছে এদের মূলতঃ ক্ষোভ এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরের কথা বরং নীরবতা অবলম্বন করছেন। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য এভাবে যেমন একটা সরকার চলতে পারেনা তেমনি চলতেও দেওয়া যায় না। এক শীর্ষ বিধায়কের অভিযোগ যে ভাবে দিল্লী চুপচাপ রয়েছে তাতে সংশয় আরো দানা বাঁধছে। ওই মন্ত্রীর কথাবার্তায় মনে হয়ে থাকে সেই সরকার চালাচ্ছে। হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে।
কিন্তু এটা তো ঘটনা সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে গত দু'বছরে নানা অংশে, নানা ভাবে অল্প বিস্তর ক্ষোভ জমেছে। ১২ জনের জায়গায় মাত্র ৮ জন মন্ত্রী। এতে বিধায়করা নারাজ। এই ক্ষোভ নিরসনে পদক্ষেপ জরুরী।অন্যথায় আগামী দিন দলের পক্ষে পথ চলা মসৃন হবে না।
তবে এটা ঠিক বা বেঠিক বলতে পারবনা কিন্তু প্রচার রয়েছে, বিপ্লব দেবের প্রতি নাকি বিজেপির হাইকমান্ডের যথেষ্ট আস্হা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দলের প্রেসিডেন্টের নাকি স্নেহধন্য বিপ্লব দেব। বিপ্লব দেবের স্বচ্ছতা নিয়ে নাকি প্রশ্ন উঠেনা। সাধারন্যেও নাকি এব্যাপারে অভিযোগ নেই।
কিন্তু অভিযোগের তীর মন্ডলের একাংশের বিরুদ্ধে। এঁরা নানাভাবে নানা কিছুর সাথে বেআইনি ভাবে যুক্ত। এদের মাধ্যমেই অনেকেই অনেক কিছু করতে হয়।
জানাগেছে, শাসকদলের একাংশের বিধায়কদের এসবের সুরাহা চান। কিন্তু কি ভাবে কি হবে?
এ কারনেই বিধায়কদের দলটি নয়াদিল্লি অভিমানের প্রস্তূতি নিয়েছে। তাদের দরবার, অভিযানের প্রাপ্তি কি হবে তা এঁরা বলতে পারছেননা। তবে প্রাপ্তি ফল যে শুন্য হতেই পারে এব্যাপারে তারাও নাকি সুনিশ্চিত। আশায় ভর করে বুক বাধলেই হবে না। তবে পরিবর্তন পন্হীরা বুক বেঁধেই তৎপরতা চালাচ্ছে বলে খবর।