'লকডাউন ওপেন অনলাইন ইল্টারন্যাশনাল চেস্ টুর্নামেন্ট' শততম মাইল ফলক পেরিয়েও পুর্ণ জনপ্রিয়তায় এগিয়ে চলেছে৷
দীপক লোদ
উত্তর পূর্বাঞ্চলের দাবারুদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ ছিল দাবার এই অনলাইন ইল্টারন্যাশনাল চেস্ টুর্নামেন্ট'৷ পরবর্তী সময়ে দেশ বিদেশেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে৷ পরবর্তী সময়ে নেপাল বাংলাদেশ শ্রীলংকা জার্মানী দক্ষিন কোরিয়া, ওমান, ব্রাজিল, ফিলিপাইনস্, ইউ এ ই, সুইডেন ও কাতার হয়ে ছড়িয়ে পড়ে আরও বহু দেশে৷ অংশ নিয়েছেন যেমন রাজ্যের খ্যাতনামা দাবারু ফিডে মাস্টার প্রসেনজিৎ দত্ত তেমনি অংশ নিয়েছেন গ্র্যান্ডমাস্টার দীপ্তায়ন ঘোষ, ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার নীরাজ কুমার মিশ্র ও কাতারের বিখ্যাত দাবারু সিডি বাইডিয়ার ন্যায় দাবারুরা৷ ৯ই জুন সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় এই অনলাইন দাবার ১০০ ট্যূর্নামেন্ট৷ ব্যাক্তিগত ৮২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ট্যূর্নামেন্টে প্রথম স্থান অধিকার করে ২০১৯ সালে শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ চেস্ চ্যাম্পিয়ানশীপের অনুর্ধ্ব ১৮ দাবায় প্রথম স্থানাধিকারী উজবেকিস্তানের দাবারু ইন্টার ন্যাশনাল মাস্টার( ২৩৯৭) আবদিমালিক আবদিশালিমভ্৷ ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ২০১৫ সালে অন্ধ্রে অনুষ্ঠিত ইন্টার ন্যাশনাল ওপেন ফিডে রেটিং টুর্নামেন্টের চ্যাম্পীয়ান পশ্চিম বাংলার দাবারু ফিডে মাস্টার (২০০৯/২০১০) জয়দীপ দত্ত৷ ৭৫ পয়েণ্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে আর্মেনিয়ার দাবারু গ্র্যান্ডমাস্টার(২০০৯) জিভর্গ হারুতিজুনয়ান (২৪৩৯)৷ প্রতিযোগিতায় ৭১ ও ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সায়ন্তন দাস ও অনুষ্টুপ্ বিশ্বাস৷ এরা দু'জনই পশ্চিম বাংলার দাবারু৷ এদের পিছনে ষষ্ঠ সপ্তম অষ্টম নবম ও দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশের সৌরভ(৬৮) পশ্চিম বাংলার নীলায়ন বিশ্বাস(৬৭) রাশিয়ার আর্টিয়ুম ওডেগভ(৬৮) তামিলনাড়ুর বালা সুব্রহ্ম্রনম্ এইচ্(৬৪) ও ইন্টার ন্যাশনাল মাস্টার রাশিয়ার আর্টিয়ুম য়ুব্রিসস্কাই(৬৩)৷ এইদিনের প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১০০ নগদ পুরস্কার৷ যেখানে মেইন প্রাইজের সংখ্যা ১৫৷ রেটিং ক্যাটাগরিতে ৬৪ ও স্পেশাল ক্যাটেগরিতে থাকবে ২১টি প্রাইজ৷ শততম ম্যাচে সর্বমোট ১৩০১৭ রাউন্ড খেলা হয়৷ সর্বমোট চালের সংখ্যা ছিল ৮৩২১১৯টি৷ যেখানে সাদা গুঁটির জয়লাভের হার ছিল ৪৯ শতাংশ ও কালো গুটির বেলায় সেটা ছিল ৪৫ শতাংশ৷ ড্র হয়েছিল ৬ শতাংশ ম্যাচে৷ মোট ৭১টি দেশের ২২২৬ জন দাবারু অংশ নিয়েছিল সে ঐতিহাসিক ম্যাচে৷ নেপাল বাংলাদেশ শ্রীলংকা জার্মানী দক্ষিন কোরিয়া, ওমান, ব্রাজিল, ফিলিপাইনস্, ইউ এ ই, সূইডেন ও কাতার উজবেকিস্তান সহ যোগদান করেছিল বিশ্বের নতুন আরও ১৮টি দেশের দাবারুরা। চমকের বিষয় ৯ জুনের শততম ম্যাচে বিশ্বের স্বনামধন্য ৫ জন গ্র্যান্ডমাস্টার, ৭ জন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার, ১ জন উইম্যান ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার, ১৪ জন ফিডে মাস্টার, ৩ জন ন্যাশনাল মাস্টার ও ২ জন কেন্ডিডেট মাস্টার সহ বিশ্বের নানান দেশের ৩২ স্বনামধন্য বিশ্বমানের দাবারু৷ শ্রী দাসের ধারাবাহিক প্রচেষ্টাতে খুশি ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশের দাবারু ও দাবা অভিভাবক ও ক্রীড়া মহল৷ ৯ই জুনের শততম টুর্নামেন্ট উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা ট্যুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব থেকে মন্ত্রি শ্রীরতনলাল নাথ, শ্রী মনোজ কান্তি দেব সাংসদ শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিক, ত্রিপুরা স্পোর্টস্ কাউন্সিলের সম্পাদক শ্রী অমিত রক্ষিত ও সারা ভারত দাবা ফেডারেশনের সম্পাদক শ্রী বিজয় দেশপান্ডে থেকে বিশ্বের ও দেশের অজস্র দাবা ব্যাক্তিত্ব সংগঠনের পদাধিকারীরাগনও নির্মল দাসকে সেদিন শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। শ্রীদাসকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন দেশের গর্ব দাবারু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ ও দিব্যেন্দু বরুয়ার মতো দাবারুরাও৷ ধন্যবাদ জানান তার এরূপ দৃষ্টান্তমূলক বলিষ্ট প্রচেষ্টার৷