করোনা সংক্রমন রোধে ফের লকডাউন ছাড়া বিকল্প নেই
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রচার চলছে রাজ্যে নাকি আবার লকডাউন হতে পারে। বলবৎ হতে পারে কঠোর বিধিনিষেধ। কি হবে, না হবে সেটা সরকারই বলতে পারে। তবে প্রচার মাধ্যম এনিয়ে জল্পনা চলছে। আর মন্ত্রী রতনলাল নাথ- এই জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে এটা তো ঠিক রাজ্যে যে ভাবে সংক্রমন বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। প্রশ্ন কেন এভাবে সংক্রমন বাড়ছে? দেখা যায় সংক্রমন বাড়ছে তাদের মধ্যেই যারা বহিরাজ্য থেকে রাজ্যে ফিরে এসেছেন তাদের মধ্যে। এবং তারা যাদের সাথে মেলামেশা করছে তাঁরাও সংক্রমিত হচ্ছেন। যারা রাজ্যে ফিরে এসেছেন তাঁরা তো রাজ্যেরই মানুষ। কিন্তু তাঁরা কেন সংক্রমিত? তাঁরা যেখানে বা যে রাজ্যে ছিলেন এবং যখন ছিলেন তখন কি তারা সংক্রমন মুক্ত ছিলেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে এরা এখানে আসার পর থেকেই সংক্রমিত হল কিভাবে? এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন। তদোপরি রেলে চাপার আগে তো সবারই পরীক্ষা করার রীতি রয়েছে। সে রীতি অনুযায়ী নিশ্চয় তাদেরও থার্মাল চেকিং হয়েছে। বা হয়ে থাকে। এটা অবাক করার ঘটনা কিংবা ভাবার বিষয় এরা কিভাবে দ্রুত সংক্রমিত হয়ে গেল?
খবর হল যারা অন্যরাজ্য থেকে এসেছেন এরা আগেই সংক্রমিত ছিলেন বা শরীরে তাপমাত্রা ছিল। থার্মাল চেকিং এ তাপমাত্রা ধরা পড়ার কথা।
কিন্তু খবর হল, এরা অনেকেই ভিন্ন কৌশল নিয়েছেন।এঁরা রেল যাত্রার আগেই কেলপল ৫০০/৬০০ এমজি খেয়ে নিয়েছিল।গোটা যাত্রায় এরা তিনটি করে ক্যালপল খেয়েছে। এ কারনেই থার্মাল চেকিং-এ এদের দেহে তাপমাত্রা ধরা পড়েনি । এই যে লুকোচুরি তাতো বিপদজনক। এটা অপরাধও বটে।বড় অপরাধ হল এরা তো রাজ্যের গ্রাফ বাড়িয়ে দিয়েছেন।অন্যদেরও সংক্রমিত করেছেন বা করে চলেছেন। তথ্য গোপন আইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।যারা তথ্য গোপন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে খবর।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, যদি গ্রাফ আগামী দিনে উর্দ্ধমুখী হতেই থাকে তাহলে হয়তো পরিপূর্ণ এবং কঠোর লকডাউন করা ছাড়া সরকারের বিকল্প কিছু থাকবে না।
বলাই বাহুল্য রাজ্যের করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন অন্চল সফর করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।করোনা জনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মূলতঃ তার কঠোর অবস্থানে রাজ্য করোনা মুক্ত হয়েছিল। কিন্তু এখন তো রাজ্যের সর্বত্র করোনা সংক্রমিত রোগী প্রচুর বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতি কি ভাবে মোকাবেলা হবে তা এখন বড় প্রশ্ন।