পাহাড় সমতলে সন্ত্রাস যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাদ যাচ্ছেনা রক্তদান শিবির, কেন এধরনের মানবতাবিরোধী আক্রমন?
প্রদীপ চক্রবর্তী
সমতলে হামলা, পাহাড়ে সন্ত্রাস যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসের সব ঘটনা সমতলে খবরে আসছেই না। কিন্তু বিক্ষিপ্ত ভাবে যাই আসছে তাতে প্রশ্ন উঠছেই কেন হবে এসব? এর কি কোন প্রয়োজন আছে? তবে উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ছাড়া তো এসব হচ্ছে না। কি সেই সব লক্ষ, উদ্দেশ্য?
আইএনপিটি সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা বলছেন বিরোধীদলীয় ভিলেজ কমিটি গুলির দখল নিতে পাহাড়ে সন্ত্রাস, ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভিলেজ কমিটির দায়িত্ব যাতে বিরোধীরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তার জন্যই প্রায়দিন ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন করা অব্যাহত রয়েছে।
আইএনপিটি সাধারণ সম্পাদক বলছেন ইতিমধ্যেই জগবন্ধু পাড়া ভিলেজ কমিটির চেয়ারম্যান লবচন্দ্র রিয়াংকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। পদত্যাগের জন্য চিত্রাঝাড়ি ভিলেজ কমিটির চেয়ারম্যান কে পদত্যাগ করার জন্য দিনরাত চাপসৃষ্টি করা হচ্ছে।
জগদীশ দেববমার বক্তব্য এডিসিতে প্রশাসক বসানোর পর থেকেই পাহাড়ে আইপিএফটি -র সমর্থকরা উন্মত্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে। তাঁরা বলছে এডিসি ওদের কাছে। ওরাই সব পরিচালনা করবেন। বস্তুত তাই করছে ওরা। রেগার কাজে এরা ব্যবহার করছে ড্রজার। প্রায় সবখানেই এখন ড্রজার। শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছে না। ফলে সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। এই সংকট অর্থের। আইএনপিটি-র অভিযোগ প্রশাসক বসানোর পর থেকে পাহাড়ে এডিসির অর্থ লুটপাট চলছে। তাও পাইকারি হারে। আইএনপিটি-র অভিযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। এই অবস্থা চলতে থাকলে কিন্তু পাহাড় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে। কেননা পাহাড়ে কিন্তু আইএনপিটি শক্তিশালী। তাদের মজবুত সংগঠন রয়েছে। যতটুকু খবর আইএনপিটি এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেই। এলক্ষেই এদের সাংগঠনিক তৎপরতা চলছে বলে খবর।
শুধু পাহাড় কেন এখন সমতলেও চলছে সন্ত্রাস। বিশালগড়ে ব্লক কংগ্রেস সভাপতির বাড়ীতে হামলা হয়েছে। ব্লক সভাপতি হারাধন দেবনাথ শুধু নয় তার পরিবারের সদস্যদের উপরও হামলা হয়েছে। অভিযোগ বিজেপির দিকে। ব্লক সভাপতি হারাধন দেবনাথ জানিয়েছেন দেড় বছর আগেও তার বাড়ী আক্রান্ত হয়েছিল। এখন আবার আক্রান্ত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুস বিশ্বাস, সুবল ভৌমিক গতকাল হারাধন দেবনাথ- এর বাড়ী সফর করেছেন। থানায় গিয়েছেন, বিচার চেয়েছেন।
এদিকে রামনগরের ঘটনাতো মানবতা বিরোধী। বিরোধী দলের ছাত্র, যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হন। এঁরা আক্রান্ত হন তখন যখন তারা রক্তদান করছিল। এক্ষেত্রেও অভিযোগের তীর বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে। রাজ্যের ব্লাডব্যাংক গুলির রক্তের ঘাটতি পূরনের জন্যই এরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। কিন্তু যখন শিবির চলছিল তখনই হামলা চালিয়েছে দূরবত্তরা। এঁরা নাকি বিজেপির আশ্রিত। স্বদলীয় লোকরা তো আক্রমন করবে না। তবে কেন এধরনের মানবতাবিরোধী আক্রমন? প্রশ্ন উঠেছে।