লকডাউন, অর্থনৈতিক সংকট, উত্তরণের পথে অনিশ্চয়তা, চারদিকে শুধু কৃষ্ণ মেঘের আনাগোনা
প্রদীপ চক্রবর্তী
করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাগাতার লকডাউনের কারনে বিশ্বজুড়ে অভাবিত অর্থনৈতিক সংকট যেমন দেখা দিয়েছে তেমনি দেখা দিয়েছে কর্মহীনতা। অন্ততঃ বার কোটি লোক কাজ হারিয়েছে।আরো কয়েক কোটি কাজ হারানোর পথে। অর্থনৈতিক সংকট এমন আকার ধারণ করেছে যে সাধারণ মানুষ যেমন দিশেহারা তেমনি ব্যান্কগুলি চোখে সর্ষে ফুল দেখছে।ব্যান্কগুলির পক্ষে জমানো টাকা দেয়া কঠিন হয়ে উঠছে। দুই চাইলে এক দেয়া হচ্ছে।ফলে ব্যবসায়ীদের পক্ষে প্রতিষ্ঠান চালানো কঠিন হয়ে উঠছে।
এটিএম কাউন্টার গুলিতে দিনের অধিকাংশ সময় টাকা থাকে না।টাকা উঠাতে গেলেই বাউন্স হয়ে যাচ্ছে।ডিসপ্লে হচ্ছে টেকনিক্যাল এরর, কোথাও আবার সার্ভার ডাউন । আবার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে অন্য এটিএমে চেষ্টা করতে। কিন্তু আসল কথা তো আর ডিসপ্লে হচ্ছে না। ব্যান্কে গেলে পরিচিতি থাকলে আসল কথা জানা যায়।
খবর হলো রাজ্যের ভাড়ারে অর্থের সঙ্কট রয়েছে। এবং এই সংকট তীব্র।জোড়াতালি দিয়ে ব্যান্কিং পরিষেবা চালু রাখা হচ্ছে বলে সংবাদ। প্রকাশ রাজ্যের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হচ্ছে না।যদিও এই পরিস্থিতি বা অবস্হা শুধু রাজ্যের নয়,অন্যান্য অনেক রাজ্যের ও একই হাল।
এটিএম বুথ সর্ম্পকে বলা যেতে পারে আজ দুপুরের পর থেকে মঠ চৌমুহনী এলাকায় কোন বুথ থেকে কেউ টাকা তুলতে পারেনি।সবাই হন্যে হয়ে এক বুথ থেকে আরেক বুথ বা কাউন্টারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। উল্লেখ্য মঠচৌমুহনী, কামারপুকুর,গনরাজ চৌমুহনী,জয়গুরু,জেল রোড এলাকায় কম করে ১৭ টি এটিএম বুথ রয়েছে।সবগুলিই টাকা শূন্য ছিল। ইদানিং অধিকাংশ এটিএম বুথেই টাকা থাকছে না।
এই পরিস্থিতি অভাবিত।সাধারন মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনিতেই লকডাউন তারপর সংকট।সংকট সর্বস্তরে।কবে এই অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথে যাবে তাও আজ অনিশ্চিত। চারদিকে কৃষ্ণ মেঘের আনাগোনা।