করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমনের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে ত্রিপুরায়!
প্রদীপ চক্রবর্তী
রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মহারাষ্ট্র থেকে আগত ১৬ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী সনাক্ত হওয়ার খবরে গোষ্ঠী সংক্রমনের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে এই রোগী সনাক্ত হওয়ায় সংগত ভাবেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে হঠাৎ করে কি ভাবে এতজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হলো? এঁরা তো রেলেই রাজ্যে এসেছে। সেখানে তো থার্মাল স্কেনিং নিশ্চিত ভাবেই হয়েছে।
যারা নুতন ভাবে সনাক্ত হয়েছেন এঁরা সবাই রেলে রাজ্যে এসেছেন। এদের সব কজনকে থার্মাল চেকিং ও সোয়াব নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এঁরা দিব্যি বাড়ী ফিরে যায়।বাড়ী যেতে নানা জন নানা লোকের সাথে কথা বলেছেন, সংস্পর্শে গিয়েছেন। বাড়ীতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কদিন পরেই দেখা গেল এঁরা করোনা ভাইরাস সংক্রমিত। কিন্তু যখন এদের রিপোর্ট এসেছে তার আগেই সংক্রমন ঘটেছে।
প্রশ্ন হল রাজধানীতে যাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে এরা বটতলা, ভাটি অভয়নগর, মন্ত্রী বাড়ী রোড ও বামুটিয়ার বাসিন্দা। সোনামুড়ার কজন যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে তৈদু, কিল্লা, রাঙ্গুটিয়াও তেলিয়ামুড়ার লোকও রয়েছে। এই অঞ্চলের লোকজনের সাথে এঁরা মিশেছেন, পরোক্ষে এদের সংক্রমিত করেছেন। এটাতো যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কেননা ধীরলয়ে ক্রমশঃ রাজ্যের প্রায় সর্বত্র করোনা সংক্রমন হচ্ছে। বিপজ্জনক দিক এটা।
অনেকেই বলছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ব্যবস্হাপনা যথাযথ ভাবে হচ্ছে না। কোথাও না কোথাও ফাঁক ফোকড় রয়েছে।।
মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুক না কেন কোথাও না কোথাও গলদ রয়েই গেছে।
প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নয়। প্রশ্ন রাজ্যবাসীর স্বাস্হ্য সুরক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি রয়েছে তাবড় আমলা কূলেরও। করোনা সংক্রমন যে ভাবেই হোক না কেন তা রোধ করতেই হবে। অর্থের তো অভাব নেই। কেন্দ্র দরাজ ভাবে অর্থ দিয়েছে, সাধারণ মানুষজনও দিয়েছে। ব্রীক ম্যানুফেকচার এসোসিয়েশনই দিয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তো অর্থের অভাব নেই।