‘সুভাষচন্দ্র, তোমাকে দেশনায়কের পদে বরণ করি’ : রবি ঠাকুর

শঙ্খশুভ্র দেববর্মণ

January 28, 2025

ভারতের দুই মহান আইকন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন ও রাজনীতিতে কিছুটা মিল থাকলেও প্রথমাবস্থায় তাঁদের ভিন্নতার সুর ছিল বরং তীব্র। এখানে এই কথা বলা অসঙ্গত নয় যে, উদার দেশপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিপ্রতীপে সুভাষ চন্দ্র বসুর অবস্থান ছিল একজন প্রবল জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে। সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তেমন সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন না। তবে মতদ্বৈধতা সত্বেও দু’জনের মধ্যে যে একেবারে যোগাযোগ ছিল না - তা নয়।

সুভাষচন্দ্র বসু কটকে সেই ছাত্রাবস্থাতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার গুণমুগ্ধ পাঠক হয়ে উঠেছিলেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেগুলি আবৃত্তি করতেন। ১৯১৪’এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার ঘটে; তিনি তখন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র । এর আগের বছর অর্থাৎ ১৯১৩’এ রবীন্দ্রনাথ নোবেল পেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের উদ্দেশ্যেই সেবার তিনি তাঁর কিছু সহপাঠীর সঙ্গে শান্তিনিকেতনে যান। সুভাষ চন্দ্র বসুর আশা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের স্বতন্ত্রতা, শিল্প সংস্কৃতির বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁদের গ্রামীণ ভারতের বিকাশ, গ্রামোন্নয়ন এবং সেই উন্নয়নের সুবিধার্থে যুবকদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। এহেন আলাপচারিতার ফলে সেবার খানিকটা হতোদ্যম হয়েছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। পরবর্তী কালেও তিনি এই বৈঠকের কথা মনে রেখেছিলেন এবং ব্যক্ত করেছিলেন তাঁর মতবিরোধের কথাও।

মজার বিষয় হল, এই মিথস্ক্রিয়ার বহু বছর পরেও সাধারণভাবে শিল্পের প্রকৃতি এবং শিল্পের উপযোগিতা নিয়ে দু’জনের মধ্যে মতভেদ বজায় ছিল। সুভাষচন্দ্র বসু মনে করতেন শিল্পকলা কিম্বা নন্দন তত্ত্ব এমন ভাবেই সৃজিত হওয়া উচিত যা প্রান্তিক মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। তাঁর তখন মনে হয়েছিল শিল্পের পরিপূর্ণতা তথা উপলব্ধির মধ্যে একটি অন্তঃস্থায়ী অভিজাত সুলভ পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। সুভাষ চন্দ্র বসুর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করা সত্বেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করেন নি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে, “শিল্প যখন তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন সেটাই হয়ে উঠে স্রষ্টার নান্দনিকতার সর্বোচ্চ বিন্দু। তবে সবাই যে সেই শিল্পকলার প্রশংসা করবেন – এ রকম ভাবাটাও অসঙ্গত। যদি প্রত্যেক ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করার শক্তি স্রষ্টার উপর বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে শিল্পের বিপর্যয় অনিবার্য !’’ শিল্প সম্পর্কে তাঁদের মতামতের এই পার্থক্যটি চিত্তাকর্ষক এই কারণে যে, এতে আমাদের সামনে এই দুই ব্যক্তিত্বের জীবন দর্শন অনেকটাই স্পষ্টতর হয়ে উঠে !

তাঁদের দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারটি ঘটে কয়েক বছর পরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ভ্রমণের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাহাজে ভারতে ফিরছিলেন। সেই জাহাজে ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। এর আগে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস’এর প্রশিক্ষণের জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু এই চাকরির জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়ই তিনি অব্যাহতি নিয়েছিলেন। ভারতে ফিরে আসছিলেন মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। তখন তাঁদের সেই সাক্ষাৎকারের সময়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন যে, তিনি গান্ধীজির আন্দোলনের বিরুদ্ধে নন। তবে আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য গান্ধীজি এমন বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন যা আদৌ তাঁর মনঃপুত নয় ! তিনি তাই ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জনের জন্য গান্ধীজির আহ্বান প্রত্যয়ন করেননি।

সুভাষচন্দ্র বসু সেবার গান্ধীজির স্বদেশী আন্দোলনের বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অভিমত মন দিয়ে শুনেছিলেন ঠিকই। তবে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় কোনও ভাবেই প্রভাবিত হন নি। দেশে ফিরে তিনি গান্ধীজির নেতৃত্বে ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বর্জনের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলেন। পাশাপাশি সমান্তরাল দেশীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯২১’এ সালে কলকাতা বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠার মূল ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি ।

সুভাষচন্দ্র বসু কিন্তু পরে গান্ধীজির প্রতিও মোহভঙ্গ হন। একটা সময়ে তাঁর মনে হয়েছিল যে, স্বদেশী আন্দোলনের অভিমুখ সম্পর্কে গান্ধীজির কোনও সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। এই রকম অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে, তিনি সন্দিহান ছিলেন যে গান্ধীজি কীভাবে ব্রিটিশদের কাছ থেকে কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জনে সফল হবেন ! বিপরীতে, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সুভাষচন্দ্র বসু বরং আরও বেশি প্রভাবিত হয়েছিলেন। অবশেষে যেন খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁর আদর্শ পথ প্রদর্শককে। এদিকে চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গেও কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক বিষয়ে মত পার্থক্য ছিল। কিছুটা হলেও এর প্রভাব পড়েছিল সুভাষচন্দ্র বসু আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কের ওপর। ওই সময়ে গান্ধীজি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গিও সদর্থক হয়ে উঠেছিল।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয় সরস্বতী পুজা নিয়ে সুভাষচন্দ্র বসু আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বন্দ্বের কথা। চরমে পৌঁছেছিল তখন তাঁদের সেই বিরোধ । সাল’টা ছিল ১৯২৮। সুভাষচন্দ্র বসু সেবার কলকাতার সিটি কলেজে সরস্বতী পুজার আয়োজন করেছিলেন। সিটি কলেজ ছিল একটি ব্রাহ্ম প্রতিষ্ঠান যেখানে মূর্তি পূজার অনুমতি ছিল না। ছাত্ররা তা উপেক্ষা করে সরস্বতী পূজাকে আরও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় যখন - কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের জরিমানা করে। সুভাষ চন্দ্র বসু তখন ছাত্রদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন বেশ দৃঢ়ভাবে, যার ফলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যারপরনাই বিরক্ত হয়েছিলেন। তাঁর ছেলে রথীন্দ্রনাথকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি তাঁর অসন্তোষ ব্যক্ত করে লেখেন যে, ‘বসুর প্রতি সমস্ত সম্মান হারিয়ে ফেলেছি’ !

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সুভাষচন্দ্র বসু বারংবার কারারুদ্ধ হন। ভিন্ন ভিন্ন কারাগারে থাকার ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তিনি সেই সময় বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পান। এরই অনুষঙ্গ হিসেবে একটি পরিচয় পত্র চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরর কাছে। সেই পরিচয় পত্র অবশ্যই লিখে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সুভাষচন্দ্র বসু কিন্তু রবীন্দ্রনাথের দেওয়া সংক্ষিপ্ত পরিচয় পত্রটি পেয়ে মোটেই খুশি হতে পারেন নি।

এর কয়েক বছর পরে, ১৯৩৫ সালে, সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল’ লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। তিনি চেয়েছিলেন এই বইটির ভূমিকা লিখুক এইচ জি ওয়েলস কিম্বা জর্জ বার্নার্ড শ। এই দু’জনের সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ সখ্যতা ছিল। এই দুই মনীষীর একজন যাতে এই বইয়ের ভূমিকা লেখেন - সেই সুপারিশ করার জন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনুরোধ করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু । তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি মহাশয় রোল্যান্ডকেও জিজ্ঞাসা করার কথা ভেবেছিলাম কিন্তু তিনি গান্ধীর খুব বেশি ভক্ত যা আমি নই। তাই আমি নিশ্চিত নই যে তিনি আমার বইয়ের ভূমিকা লিখতে ইচ্ছুক হবেন কিনা। আমি আপনার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু আপনি আমার রাজনৈতিক আখ্যান সম্বলিত বইয়ে লিখতে রাজি হবেন কিনা সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত নই। আপনিও সম্প্রতি গান্ধীজীর একজন অন্ধ সমর্থকে পরিণত হয়েছেন — আপনার সাম্প্রতিক লেখাগুলো পড়ে এমন ধারণাই হয়। এমতাবস্থায় নিশ্চিত নই যে, আপনি গান্ধীজি সম্পর্কে কোনও সমালোচনা সহ্য করবেন কি না।” প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন: "গান্ধীজি একজন অসাধারণ ন্যায়পরায়ণ ও নৈতিক শক্তির প্রতীক যাকে সম্মান না করলে আমি সত্যি 'অন্ধে ' পরিণত হবো।" ওই একই চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘বার্নাড শ’কে আমি ভালো মতো জানি, তোমার বইয়ের পূর্বভাষণ লেখবার জন্য তাঁকে অনুরোধ করতে আমি সাহস করিনে। করলেও ফল হবে না এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’… এই বিষয়গুলি এটাই প্রমাণ করে যে, সুভাষ চন্দ্র বসু আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কের মধ্যে একটা চাপা সংঘাত ছিল !

পরবর্তী বছরগুলিতে অবশ্য সুভাষচন্দ্র বসু আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রথম আলাপচারিতার কথা স্মরণ করতে গিয়ে ১৯৩৮’এ এক অনুষ্ঠানে সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, "গ্রামোন্নয়ন সম্পর্কে আমাদের প্রতি তাঁর উপদেশ শুনে আমি সেবার অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু এখন বুঝতে পেরেছি যে, তিনি গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে যা বলতে চেয়েছিলেন তার ইতিবাচক সম্ভাবনা বা গুরুত্ব কতখানি !’’

ত্রিপুরী অধিবেশনে দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গান্ধীজি স্পষ্টতই রাজনৈতিক পাশার ঘুঁটিগুলি তখন এমন ভাবেই সাজিয়েছিলেন যাতে সুভাষচন্দ্র বসুকে পদ থেকে বঞ্চিত করা সম্ভব হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ধরনের ষড়যন্ত্রের জবাবে গান্ধীজি ও নেহরু উভয়কেই সুভাষচন্দ্রের পক্ষে যুক্তি দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন।

অবশেষে, অনেক রাজনৈতিক নাটক ঘটে যাওয়ার পরে সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন যখন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করতে দ্বিধান্বিত হন নি। তিনি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি এক বার্তায় এই কথাই লিখেছিলেন যে, ‘সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে তুমি যে মর্যাদা ও সহনশীলতা দেখিয়েছো তাতে তোমার নেতৃত্বের প্রতি আমার প্রশংসা ও আস্থার মাত্রা – দুই’ই বেড়ে গিয়েছে।‘ এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই ১৯৩৯’র মে’তে তিনি সুভাষচন্দ্রকে "দেশনায়ক" বলে অভিহিত করেন এবং তাঁর উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধও লেখেন। এ ছাড়া ‘তাসের দেশ’ নাটকটিও উৎসর্গ করেন সুভাষচন্দ্র বসু’কে। বইয়ের উৎসর্গ পত্রে তিনি লিখেছিলেন, ‘’ স্বদেশের চিত্তে নূতন প্রাণ সঞ্চার করবার পূণ্যব্রত তুমি গ্রহণ করেছ, সেই কথা স্মরণ করে তোমার নামে ‘তাসের দেশ’ নাটিকা উৎসর্গ করলুম।’’

১৯৪১ সালে কলকাতা থেকে সুভাষচন্দ্র বসুর রহস্যজনক অন্তর্ধানের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভীষণ রকম উৎকণ্ঠিত হন । সুভাষচন্দ্র বসুর দাদা শরৎ বসুকে পাঠানো টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, 'সুভাষের অন্তর্ধানে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাঁর মাকে আমার সহানুভূতির কথা অবশ্যই জানাবেন। দয়া করে সুভাষের খবরাখবর আমায় অবহিত করুন।‘’

তবে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে সুভাষচন্দ্র বসু যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে তা পরিস্ফুট হয় তাঁর ছোটগল্প ‘বদনাম’এ । এক অদ্ভুত সমাপতনের মতো সুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধানের সময়েই তিনি লিখেছিলেন এই গল্প । কাহিনীর নায়ক, অনিল স্বাধীনতা সংগ্রামী , যিনি সুভাষচন্দ্রের মতোই গোপনে আফগানিস্তানে পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তিনি সগর্বে জানিয়েছিলেন তাঁকে বেঁধে রাখার মতো শেকল ব্রিটিশ শাসকের কাছে নেই! বিদেশি শাসকের প্রতি তাঁর মন্তব্য, "'আমারে বাঁধবি তোরা সেই বাঁধন কি তোদের আছে!' … সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি এর চেয়ে বড় রাবীন্দ্রিক শ্রদ্ধাঞ্জলি আর কী হতে পারে !

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.