প্রশাসনিক স্হবিরতা পদে পদে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে

প্রদীপ চক্রবর্তী

এটি নড়েও না, আবার চলেও না। তবে মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে চলতে শুরু করে। কিন্তু কিছুদূর গিয়ে আবার মুখ থুবড়ে পড়ে। সেখানেই আবার এক ঘুম ।

বলা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশের কথা। তাদের জনস্বার্থে আদৌ মাথা ব্যথা নেই। জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ যে ওদের থাকতে হয় সেকথা ওরা বেমালুম ভুলে আছে।

আজ থেকে প্রায় তিন মাস আগে জননিরাপত্তার হুমকির দিকগুলো ইনফোতে সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছিল। বলা হয়েছিল প্রধান প্রধান বানিজ্যিক এলাকা ও আশপাশের অঞ্চলগুলি কেমন নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। বলা হয়েছিল যে কোন সময়ে জতুগৃহে পরিনত হওয়ার আশঙ্কার কথা। কিন্তু স্হবির প্রশাসন। এদের কোন দায়িত্ব বোধ নেই। কোন আইন সন্মত ব্যবস্হা গ্রহনের উদ্যোগ নেই।

এই যে মহারাজগঞ্জ বাজার, সেন্ট্রাল রোড, রাম ঠাকুর সংঘ, নেতাজী চৌমুহনী, বটতলা,লেইক চৌমুহনী, জিবি বাজার এলাকা সহ আশপাশের এলাকায় অসংখ্য দোকান পাট রয়েছে। রয়েছে মজুতভান্ডার বা গোডাউন। সরকারী অনুমতি ছাড়াই এই সব গোডাউন গড়ে তোলা হয়েছে, এগুলিতে নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্হা। অবাক কান্ড বাড়ীঘরে এই সব অবৈধ গোডাউন। কোন অনুমতি পত্র নেই। নেই এএমসি বা দমকলের অনুমতি পত্র। অথচ আগুন লাগলে কিন্তু মুহূর্তে সব ছাড়খাড় হয়ে যাবে।এক একজন বাড়ী মালিক গোডাউন ও ভাড়া দিচ্ছেন আবার পরিবার ও ভাড়া দিচ্ছেন। ভাড়াটিয়ারা জানেন ওই সব মালিকের চরিত্র কেমন। নূন্যতম পরিষেবা দিচ্ছে না এমন কি পানীয় জল। যাতাকলের লাল রঙা জল পান করতে হয়। অন্যকিছুতো দূরের কথা।

খোলাবাজারে অন্তত হাজার পাঁচেক দোকানী রয়েছে। এদের মজুতভান্ডার কিন্তু আশপাশের আবাসিক এলাকায়। এ কারনেই লকডাউনে মাঝেমধ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিমান চালালেও পর্যাপ্ত মজুতের হদিশ পায়নি। পাবেই বা কি করে? দোকানীরা তো এক দরজার খুপড়ি নিয়ে বাজারে। খদ্দেরদের তো মজুতভান্ডার থেকে মাল দিয়ে থাকেন। অধিকাংশই দুনম্বরি। হয় নিম্নমানের নয় ওজনে কম। মোটরষ্টান্ড থেকে রামঠাকুর সংঘের দিকে যে রাস্তা চলে গেছে তার এদিক ওদিক কয়েকটি ঠেক আছে যেখানে আস্ত বস্তা থেকে ২/৩ কেজি চাল বের করে দিব্যি মেশিনে সেলাই করে দেওয়া হচ্ছে। যেতে আসতে,নজর করলে সবই দেখা যায় কিন্তু কোন ব্যবস্হা নেই।খুচরো ক্রেতারা যারা ১/২ বস্তা চাল বাড়ীর জন্য নিয়ে যান তাঁরা তো ভাবতেই পারে না ওজনের এই কারচুপির কথা। সে কথা বা প্রসঙ্গ বারান্তরে বলা যাবে।

মহকুমা বা জেলা প্রশাসন যদি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিয়ে তথ্য তল্লাস করে তাহলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে। আবাসিক এলাকা বসবাস যোগ্য হয়ে উঠতে পারে।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.