উত্তর পূর্বাঞ্চলে মহাবিদ্রোহের উজ্জ্বল স্মৃতি

পান্নালাল রায়

December 23, 2025

১৮৫৭ সালের মহা বিদ্রোহ বা সিপাহি বিদ্রোহ ভারত ইতিহাসের এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক ভাবে এই বিদ্রোহ ঘটলেও তা কিন্তু আলোড়িত করেছিল সারা দেশকে।এমন কি সেদিন মহাবিদ্রোহের ছোঁয়া লেগেছিল আজকের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা,কাছাড় ও মণিপুরেও!সেদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী হয়ে আছে বর্তমান শ্রীভূমি(করিমগঞ্জ) জেলার মালেগড়,আছে হাইলাকান্দির রণটিলা সহ বরাক উপত্যকার আরও কিছু এলাকা।সেদিন এই সব অঞ্চলে গর্জে উঠেছিল বন্দুকের নল, বিদ্রোহী সিপাহিদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল সবুজ বন পাহাড়।আজও গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় সেই সব নাম না জানা শহীদদের যারা একদিন দেশমাতৃকার জন্য ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে অসম লড়াইতে ঢেলে দিয়েছিল বুকের রক্ত!

১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর।চট্টগ্রামের ৩৪ নং পদাতিক বাহিনীর ভারতীয় সিপাহিরা বিদ্রোহ করে অস্ত্রাগার ও কোষাগার লুন্ঠন করে।কারাগার ভেঙে কয়েদিদেরও মুক্ত করে তারা।সেনা ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিদ্রোহী সিপাহিরা।তারপর লুন্ঠিত অস্ত্রশস্ত্র ও বিপুল অঙ্কের নগদ অর্থ নিয়ে তারা ত্রিপুরার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।হয়তো সেদিন স্বাধীন রাজ্য ত্রিপুরাতে আশ্রয় নিয়ে কোনও বিশেষ পরিকল্পনা কার্যকর করতে চেয়েছিল বিদ্রোহীরা।হয়তো কুমিল্লায় অবস্থানরত ভারতীয় সিপাহিদের বিদ্রোহে সামিল করার কোনো পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু ত্রিপুরার রাজা চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের বহিষ্কারের আদেশ প্রচার করেন।বিদ্রোহীরা তারপর মণিপুরের উদ্দেশ্যে শ্রীহট্ট-কাছাড় অভিমুখে যাত্রা করে।তার আগে কয়েকজন ধরা পড়ে এবং তাদের ফাঁসি হয়। বিদ্রোহীরা মণিপুরের রাজার সাহায্য পাবে-হয়তো তাদের এমন এক আশা ছিল। চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের বেশিরভাগই ছিল হিন্দি বলয়ের লোক। সেখানকার কিছু কিছু দেশীয় রাজ্যের রাজা,জমিদার সহ অভিজাত শ্রেণি যে ভাবে সিপাহি বিদ্রোহে সহায়তা সহ এক অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন-সেদিনের চট্টগ্রামের বিদ্রোহীরা সম্ভবত এ অঞ্চলের রাজন্যবর্গের কাছ থেকেও অনুরূপ কিছু আশা করেছিলেন। কিন্তু ত্রিপুরার রাজার কাছ থেকে এর বিপরীত অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন তারা!

ত্রিপুরার সিংহাসনে তখন ঈশানচন্দ্র মাণিক্য(১৮৪৯-৬২ খ্রিঃ)।রাজা চট্টগ্রামের বিদ্রোহীদের তাঁর রাজ্য থেকে বহিষ্কারের আদেশ প্রচার করেন।ঐতিহাসিক কৈলাসচন্দ্র সিংহ লিখেছেন, বিদ্রোহী সিপাহিরা এই আদেশ শুনে 'ত্রিপুরা রাজ্য পরিত্যাগ পূর্বক ব্রিটিশ রাজ্য দিয়া কাছাড়াভিমুখে প্রস্হান করেন।' উল্লেখ করা যায় যে,১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের সময় আসাম,জয়ন্তিয়া, ডিমাছা রাজ্য কাছাড় পুরোপুরি ইংরেজ অধীনে।মণিপুর ও পার্বত্য ত্রিপুরার তথাকথিত স্বাধীনতা কার্যত ছিল ইংরেজ কর্তৃপক্ষের অনুকম্পা নির্ভর। 'স্বাধীন' দেশীয় রাজ্যে সিংহাসনে রাজ্যাভিষেকের জন্যও রাজাকে সনদ নিতে হতো ইংরেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।অভিষেক উপলক্ষ্যে দিতে হতো নজরানা।এমনকি সামান্য ছুতোয় রাজ্যচ্যুতির আশঙ্কাও তাড়া করতো রাজাকে।ত্রিপুরার রাজা তাই বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের আদেশ দেন। এমনকি বিদ্রোহীদের অনুসন্ধান ও পথরোধের জন্য ত্রিপুরার উত্তর সীমান্তে রাজা সৈন্য মোতায়েন করেন।অবশ্য হান্টার সাহেব লিখেছেন,সে সময় ত্রিপুরার রাজার সৈন্যবল এত কম ছিল যে রাজা চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের বাধা দেয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না।কিন্তু বিদ্রোহী সিপাহিদের বহিষ্কারের আদেশ প্রচার করলেও ঈশানচন্দ্র ইংরেজ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ থেকে মুক্ত হতে পারেননি।ইংরেজরা ত্রিপুরার রাজাকে বিদ্রোহীদের সাহায্যকারী হিসেবে সন্দেহ করেছিল। এমনকি,কৈলাসচন্দ্র সিংহ লিখেছেন,এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ইংরেজরা ত্রিপুরা দখল ও রাজাকে কারারুদ্ধও করতে চেয়েছিল।যদিও শেষপর্যন্ত তাদের এই সন্দেহ দূর হয়।মণিপুরের রাজা অবশ্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইংরেজদের সক্রিয় সহযোগিতা করেছিলেন। ইংরেজদের সাহায্যার্থে তিনি মণিপুরী সৈন্যও প্রেরণ করেছিলেন।কাছাড়ে অবস্থানরত রাজ্যত্যাগী স্বাধীনচেতা মণিপুরী রাজকুমার নরেন্দ্রজিৎ সিংহ অবশ্য বিদ্রোহী সিপাহিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি আহত হয়েছিলেন।

সেদিন ত্রিপুরার রাজা বিদ্রোহীদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও তার বহিঃপ্রকাশের কোনও উপায় ছিল না।ইংরেজদের প্রবল চাপের মুখে ছিলেন তিনি।তাই মহাবিদ্রোহের সামান্য ছোঁয়াতেই শঙ্কিত হয়ে উঠেন রাজা।বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করেন তাঁর রাজ্য থেকে। বিদ্রোহীরা হতাশ হয়ে তখন মণিপুরের দিকে তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।কিন্তু কাছাড় হয়ে মণিপুরে যাবার পথেই ঘটে বিপত্তি। এটা অনুমান করতে অসুবিধা হয় না যে,ইংরেজদের উপর রাজা তীব্র অসন্তুষ্ট থাকলেও তার বহিঃপ্রকাশের কিন্তু কোনও উপায় ছিল না।একদিকে যেমন রাজার সামরিক শক্তি দুর্বল হয়ে আসছিল,তেমনই অপরদিকে রাজপরিবারে সিংহাসন নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বও রাজশক্তিকে ক্রমাগত দুর্বল করে দিচ্ছিল। এ অবস্থায় প্রবল শক্তিধর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজা কী আর করতে পারেন! সেদিন দু'ধরণের বিপদের আশঙ্কার মুখে ছিলেন রাজা।একদিকে রাজপরিবারের উচ্চাকাঙ্খী কেউ হয়তো বা চট্টগ্রামের বিদ্রোহীদের সহায়তা নিয়ে রাজার বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে রাজার যোগসাজসের অভিযোগ তুলে তারা ইংরেজদের কান ভারী করতেও পারে।অর্থাৎ দুদিকেই রাজার বিপদ!ত্রিপুরার মতো এমন আশঙ্কা ছিল মণিপুরের রাজারও।কিছুটা তৎপরতাও ছিল।যাইহোক, ত্রিপুরার রাজা বিদ্রোহীদের প্রতি সহানুভূতিশীল,না তাদের তীব্র বিরোধী ছিলেন এ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও সাধারণ প্রজাগণ যে বিদ্রোহীদের পক্ষে ছিলেন সে বিষয়ে সম্ভবত কোনও দ্বিমত নেই। বিদ্রোহীরা ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হবার সময় পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীরা তাদের সাময়িক আশ্রয় ও সাহায্য করেছিল।পার্বত্য অঞ্চলের অভ্যন্তরে অমরপুর অঞ্চলের এক প্রভাবশালী সর্দার বিদ্রোহী সিপাহিদের সাহায্য করার অভিযোগে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন বলেও জানা যায়।

চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিরা সেদিন ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলের ভেতর দিয়ে শ্রীহট্ট-কাছাড়ের দিকে অগ্রসর হয়েছিল।স্যার এডওয়ার্ড গেইট তাঁর 'এ হিস্ট্রি অব আসাম' গ্রন্হে উল্লেখ করেছেন যে,বিদ্রোহীরা পার্বত্য ত্রিপুরার অরণ্যের ভেতর দিয়ে শ্রীহট্ট জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে প্রবেশ করেছিল।শ্রীহট্ট হয়ে কাছাড়ে প্রবেশের পথে কোম্পানির সৈন্যদের সঙ্গে বিদ্রোহী সিপাহিদের প্রথম সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে লাতু অঞ্চলে।১৮ ডিসেম্বর সকালে এই সংঘর্ষে ২৬ জন বিদ্রোহী সিপাহি প্রাণ হারান এবং ইংরেজ বাহিনীর পক্ষে মেজর বিঙ ও ৫ জন সৈন্য নিহত হন।নিহত সিপাহিদের একটি টিলাভূমিতে মাটি চাপা দিয়ে অন্যান্য বিদ্রোহী সিপাহিরা লাতুর পূর্ব দিকে পাহাড় অতিক্রম করার জন্য শিরিসপুর-হাইলাকান্দির দিকে অগ্রসর হয়।লাতুর যুদ্ধ সম্পর্কে অচ্যুতচরণ চৌধুরী তাঁর সুবিখ্যাত গ্রন্হ 'শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত'-তে লিখেছেন-"লাতুর বাজারের নিকট বিদ্রোহীদের সহিত ব্রিটিশ সৈন্যের সাক্ষাৎ বিদ্রোহীগণ নদী তীরবর্তী মালগড় টিলায় আশ্রয় লইল ও ইংরেজদের উপর গুলি বর্ষণ করিতে লাগিল। ব্রিটিশ সৈন্য নদী তীরের নিম্নে ছিল, বিদ্রোহীদের প্রথম গুলিতেই মেজর বিঙ প্রাণ ত্যাগ করেন।..."

তদানীন্তন কাছাড়ের সুপারিনটেন্ডেন্ট ক্যাপ্টেন রবার্ট স্টুয়ার্ট সে সময়ে বাংলা সরকারের কাছে তাঁর এলাকার যেসব রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন তা থেকে বিদ্রোহীদের গতিবিধি এবং তাদের পরিণতি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়।ড.সুজিত চৌধুরী সম্পাদিত 'দ্য মিউটিনি পিরিয়ড ইন কাছাড়' গ্রন্হটিতে এই সব রিপোর্ট সংকলিত হয়েছে।লাতুর যুদ্ধের পর বিদ্রোহীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। কাছাড়ের বেশ ক'টি অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইংরেজ বাহিনীর সংঘর্ষ ঘটে।তাতে বিদ্রোহী সিপাহিদের হতাহতের পাল্লা ক্রমেই ভারী হতে থাকে।স্টুয়ার্ট নিয়মিত বাংলা সরকারের সচিবের কাছে এ সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠিয়ে গেছেন।শক্তিশালী ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে বিদ্রোহী সিপাহিদের বেশিরভাগই প্রাণ হারান।খাদ্যাভাবেও কয়েকজনের মৃত্যু ঘটে।স্টুয়ার্টের রিপোর্ট অনুসারে কাছাড়ে প্রবেশের পর সব মিলিয়ে ১৮৫ জন সিপাহির মৃত্যু ঘটে।তাদের মধ্যে কিছু ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে,কিছু সংখ্যক কুকি স্কাউটদের হাতে,ক'জনের মৃত্যুদণ্ড এবং অনাহারে মৃত্যু ঘটে ক'জনের। শ্রীহট্ট-ত্রিপুরায় মৃতের সংখ্যা ৪৪।ঐতিহাসিকদের মতে বিদ্রোহী ৩০০ সিপাহি চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছিল। স্টুয়ার্ট ধারণা করেছেন কাছাড়ে যত সংখ্যক বিদ্রোহী সিপাহি প্রবেশ করছিল তাদের অধিকাংশই নিহত হয়।উদ্ধার হয় ১১০ অথবা ১২০টি বন্দুক।এই ভাবেই চট্টগ্রাম থেকে বয়ে আনা বিদ্রোহের মশাল নির্বাপিত হয় কাছাড়ে।

সেদিন অসম যুদ্ধে চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের পরাজয় ঘটলেও ব্যর্থ হয়নি দেশের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের এই আত্ম বলিদান।

লাতুর যুদ্ধে যারা সেদিন আত্মোৎসর্গ করেছিল তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে মালেগড়ে যুদ্ধ স্মারক গড়ে উঠেছে।প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর এই যুদ্ধ স্মারকে জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহা বিদ্রোহের বীর শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।পাটকই ট্রেকার্স নামে একটি সংগঠনের অংশ গ্রহণে ২০১০ সাল থেকে মালেগড়ে বিদ্রোহী সিপাহি শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে আসছে। এ বছরও মালেগড়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল।উল্লেখ্য,লাতুর যুদ্ধের ক'দিন পর হাইলাকান্দির বর্তমানে 'রণটিলা' নামে পরিচিত টিলাভূমিতে ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে লড়াইতে প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ক'জন বিদ্রোহী সিপাহি।কাছাড়ের এইসব এলাকা আজ বহন করছে দেশের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি।এ রকম রয়েছে কাছাড়ের বিন্নাকান্দিও।সেখানে ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের সঙ্গে শেষ লড়াই ঘটেছিল ইংরেজ বাহিনীর। অসম যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ৩০ জন ভারতীয় সিপাহি।এবার বিন্নাকান্দিতে ভারতীয় সিপাহিদের আত্মবলিদানের ১৬৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে ১২ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.