করোনা ছিনিয়ে নিয়েছে বিশ্ব জুড়ে ৬৩ জন সাংবাদিক- এর প্রাণ
।প্রদীপ চক্রবর্তী।
মানবসভ্যতার অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছে ভয়ংকর মারনব্যাধি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ।এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ লোকের প্রান কেড়ে নিয়েছে করোনা।আরো যে কত প্রান নিংড়ে নেবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কেননা মৃত্যু মিছিল তো চলছেই চলছে।
এই মৃত্যু মিছিলের খবর , বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা খবর যারা জানাচ্ছে এখন তো তাদের খবর রাখার কেউ নেই।অথচ এঁরা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে বেড়ায় নানা প্রান্তে।পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ই এরা ছুটছে রানার হয়ে খবর আনার জন্য।জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেই চলেছে, এঁরা আর কেউ নন এঁরা সাংবাদিক।
সাংবাদিকতা এদের পেশা। রক্ত মাংস মজ্জায় মনন চিন্তনে খবর আনার ভাবনা এদের তাড়িয়ে চলে। আমাদের এ রাজ্যে ও তার ব্যতিক্রম নেই। সকাল, সন্ধ্যায় এরা ছুটছে এখানে সেখানে হাসপাতাল থেকে সচিবালয়ে, থানা থেকে বিমানবন্দর।
দুনিয়ার নয়া ত্রাস করোনা রেহাই দেয়নি ৬৩ জন সংবাদপত্র কর্মী কে। এঁরা সব সাংবাদিক।খবর আনতে গিয়েই এরা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।শেষ রক্ষা হয়নি।নোভেল করোনা চিরদিনের জন্য কেড়ে নিয়েছে এদের প্রান।
এই তথ্য প্রকাশ করেছে সিইসি তথা প্রেস এমব্লেম ক্যাম্পেইন।দুনিয়ার সব দেশেই এরা কাজ করে। এঁরা বলছে বিশ্বের ২৪ টি দেশের যে ৬৩ জন সাংবাদিক প্রান হারিয়েছেন তাদের কারো সুরক্ষা সরন্জাম ছিল না। অর্থাৎ কতৃপক্ষ এদের সুরক্ষা সামগ্রী দেয়নি। মারাত্মক ঝুঁকি জেনেও ওরা করোনার রনাঙ্গনে গিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ভাইরাসে।করোনার কবলে পাড়ি দিয়েছেন এঁরা।
অথচ সুরক্ষা সামগ্রী দেয়ার জন্য নানা সংগঠন দাবী জানানো হলেও দেয়া হয়নি এগুলো। সম্ভবত একমাত্র ব্যতিক্রম ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্র রাজ্য ত্রিপুরা। এখানে সরকারী উদ্যোগে সাংবাদিকদের সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হয়েছে,দেয়া হয়েছে বেসরকারি ভাবেও।সাংসদ ও দিয়েছেন। একেকজন সম্ভবত পাঁচটি করে পিপি কিট পেয়েছে।না পাওয়াদের দলেও আছেন এই প্রতিবেদক সহ কজন।
সিইসি বলেছে এরা শুধু প্রান হারিয়েছেন কিন্তু ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে অন্তত পাঁচশ সংবাদ কর্মী।
১লা মার্চ থেকে ১ লা মে পর্যন্ত এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আসল ঘটনা হল এই যে সাংবাদিকদের জন্য কেউ ভাবে না।ভাবে না কতৃপক্ষ। এদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার ও কেউ নেই।তবে আমাদের দেশে কয়েকটি সংগঠন এদের স্বার্থে কথা বললেও তাদের ছাঁটাই করা অব্যাহত রয়েছে।এটাই দূর্ভাগ্য।