করোনা সংক্রমনে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত শীর্ষে
প্রদীপ চক্রবর্তী
আকষ্মিকভাবেই দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ মারনব্যাধি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃবর্গের মধ্যে তেমন উদ্বেগ বেড়েছে তেমনি উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণের মধ্যে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশী সংক্রমন রয়েছে ভারতে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে ভারতে সংক্রমন রয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে। প্রান ছিনিয়ে নিয়েছে প্রায় একহাজার জনের। করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় নয় হাজার জন। সরকারের তথ্য ব্যবস্থাপনা বলছে বুধবার ২৪ ঘন্টায় ১৭০০ র বেশী লোকের সংক্রমন সনাক্ত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুরো দেশ থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে ,না আংশিক প্রত্যাহার করা হবে নাকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ চলছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলছে যে হারে সংক্রমন চলছে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চিন্তিত। যদিও ধীরে ধীরে দেশকে অপেক্ষাকৃত স্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক যারা নানা জায়গায় আটকে পড়েছেন তাদের বাড়ীঘরে ফিরিয়ে আনা শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারী বা অন্যভাবে ঘরে আনার কাজ শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোটায় আটকে পড়া ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আনার জন্যে বাস পাঠাতে শুরু করেছে। যদিও ত্রিপুরা সরকার কোটায় আটকে পড়াদের সরকারি উদ্যোগে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। সরকার বলেছে ওরা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল। তবে আসার অনুমতি পত্র দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার রাজস্হান সরকারকে বলেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে বুধবার সনাক্ত হয়েছে প্রায় একহাজার জন। পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার। মৃত্যু হয়েছে আনুমানিক চারশ। ও দেশের মন্ত্রী আসাদ ওমুরের দাবী পাকিস্তানের করোনা জনিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তবে তাঁর বক্তব্য আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পর করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশে। বাংলাদেশের করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ৮২৩৮ জন। মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্হ হয়েছেন ১৪ জন। ১৭৪ জন সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত বাড়ী ফিরে গেছেন।
আফগানিস্তানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় দুহাজার। শ্রীলন্কায় আক্রান্ত ৭০০। ওরা বলছে রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ওদেশে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এর জন্য দ্রোন কাজে লাগানো হয়েছে। ওদেশের নৌবাহিনীর ২৫ জন করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন। মালদ্বীপে আজ পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত প্রায় ৫০০। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ জন। তবে নেপাল ও ভুটানে ও করোনা বিস্তৃত হয়েছে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৬০ ও ৯ জন।