ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটে ত্রিপুরা সরকার, ৫৪টি বিভিন্ন স্কিমে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোন অর্থই পায়নি রাজ্য
জয়ন্ত দেবনাথ
কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২০-২১ সালের নতুন বাজেট সংসদে পেশ হয়ে গেছে কিন্তু, ত্রিপুরা সরকার কম করেও ৫৪টি বিভিন্ন স্কিমে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোন অর্থই পায়নি। আর ৩৯ টি খাতে ত্রিপুরা সরকার ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় খাতে বরাদ্দকৃত প্রাপ্য অর্থের চেয়ে অস্বাভাবিক ভাবে কম অর্থ পেয়েছে। অবশ্য একাদিক খাতে কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ফাণ্ড প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু অর্থ মঞ্জুরি খুব কম ক্ষেত্রেই হয়েছে।
বিভিন্ন প্রজেক্ট, স্কিম ও কেন্দ্রীয় শেয়ারের মাধ্যমে ত্রিপুরা সরকার ১২৭৬৩.৩০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাওয়া গেছে মাত্র ৬৫৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্য প্রাপ্য অর্থের চেয়ে ৬১৭৮.২০ কোটি টাকা কম পেয়েছে। কাঙ্খিত অর্থ না পাওয়ায় তীব্র অর্থ সংকটে পড়ে গেছে ডাবল ইঞ্জিনের ত্রিপুরা সরকার। অথচ ২০১৯-২০ অর্থ বছর শেষ হতে আর মাত্র ২ মাস বাকি। এই অবস্থায় দিল্লীতে স্বদলীয় সরকার ক্ষমতাসীন থাকার পরও রাজ্যের এই বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিজেপি- নেতারা বা বিজেপি -আইপিএফটি জোট সরকারের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে বলতেও পারছেনা। এমনিতেই পূর্বতন বাম সরকার প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা দেনা রেখে যায়, যা সুদে আসলে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।
রাজ্য অর্থ দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন স্কিম ও খাতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই ১২৭৬৩.৩০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল।