লকডাউন-২: ত্রিপুরায় কোন কোন পরিষেবা খোলা এবং বন্ধ থাকবে- এক নজরে
বিশেষ প্রতিনিধি
১) ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে বইয়ের দোকানগুলো খোলা রাখা হবে।
* বৈদ্যুতিন পাখার দোকান খোলা থাকবে।
* বাড়িতে থাকা রোগী ও বয়স্কদের সেবা যত্নের জন্য Attendants ও যত্ন প্রদানকারীরা কাজ করতে পারবেন।
* প্রিপেড মোবাইল রিচার্জ করার সেন্টার খোলা থাকবে।
* খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন বেকারি, ডাইরি, আটার মিল,
ডালের মেইল এগুলো খোলা থাকবে।
২) রাজ্যের অভ্যন্তরে যে সমস্ত শ্রমিকরা বিভিন্ন জেলাতে কর্মসূত্রে এসে লকডাউনের কারণে আটকে আছেন তাদের স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে নিজ নিজ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। (অবশ্যই যাতায়াতের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং প্রপার সেনিটেশনের ব্যবস্থা থাকবে এবং যাতায়াতের সময় তাদের জল খাবারের ব্যবস্থাও প্রশাসন গ্রহণ করবে)
৩) বহি রাজ্য শ্রমিকদের এই মুহূর্তে নিজ রাজ্যে যেতে পারবেনা।
৪) অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে E- commerce company গুলোর কর্মচারীরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে পারমিশন নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী (Essential goods) গুলো-ই আওতায় থাকবে।
Agriculture and horticultural Activities:
৫) তপশিলি উপজাতি এবং ফরেস্ট এলাকার বাসিন্দারা Minor Forest Produce (MFP) বা Non Timber Forest produce (NTFP) পণ্য উৎপাদন এবং উৎপাদনের কাজ ও বাজারজাত করতে পারবে।
Plantations:
৬) bamboo coconut arecanut Cocos spices এগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারবে।
Financial sector :
৭) Non banking financial institution সহ housing finance company, cooperative credit societies এবং Microfinance institution এগুলো Minimum কর্মচারী দিয়ে চালু রাখতে পারবে।
৮) গ্রামীণ এলাকায় ছোটখাটো নির্মাণ কাজ যেমন জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কাজগুলো, বৈদ্যুতিন পরিষেবায় যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের কাজ, এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্ত নির্মাণ কাজ গুলো করতে পারবে।
* AYUSH সহ সমস্ত স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যুক্ত পরিষেবাগুলি চালু থাকবে।
যেমন হসপিটাল, নার্সিংহোম, ক্লিনিক, ডিসপেন্সারিস, ঔষধের দোকান, ফার্মেসি, এবং জনঔষধি কেন্দ্র, এবং চিকিৎসা পরিষেবার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামের দোকান গুলো খোলা থাকবে।
* কৃষকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষি কাজ করতে পারবে।
* কৃষি কাজের সরঞ্জামের দোকান এবং ব্যবহৃত কীটনাশক সার ও বীজ ওষুধ প্রভৃতি দোকান খোলা থাকবে।
* মাছ চাষের কাজ করতে পারবে, পাশাপাশি মাছ চাষের সরঞ্জামের দোকান মাছের খাদ্যের দোকান খোলা থাকবে।
* চা, কফি চাষ, processing and marketing, এবং রাবার শিল্পের কাজে ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে করাতে পারবে।
* পশু খাদ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবং তা বিক্রয়কারী খুচরা দোকান, পোল্টি ফার্ম Animal shelter home এবং গোসালয় গুলো খোলা থাকবে।
* ব্যাংক, এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গুলো এবং ওদের সার্ভিসেস (ATM) গুলো চালু থাকবে।
* অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ Children home, Disable home, mentally challenged home, senior citizen home এগুলো খোলা থাকবে।
* EPFO অফিস সহ সামাজিক ভাতা প্রদান কারী অফিসগুলো খোলা থাকবে।
* শিক্ষামূলক ট্রেনিং, কোচিং সেন্টার প্রভৃতি বন্ধ থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য E- class Room অর্থাৎ অনলাইন ভিডিও ক্লাস বিভিন্ন বৈদ্যুতিন চ্যানেলের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে।
* সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে এবং প্রপার সেনিটাইজেসনের মাধ্যমে MNREGA সমস্ত কাজ চালু করা হয়েছে।
Public sector
* পেট্রোল ডিজেল কেরোসিন সিএনজি এলপিজি, পিএনজি উৎপাদন এবং বন্টন চালু থাকবে।
* পাওয়ার উৎপাদন এবং বন্টনের কাজে যুক্ত কোম্পানিগুলো চালু থাকবে।
* পোস্টাল সার্ভিস সহ পোস্ট অফিস গুলো চালু থাকবে।
*টেলিকমিউনিকেশন সহ ইন্টারনেট সার্ভিসেস গুলো চালু থাকবে।
* সমস্ত Googs আইটেম বহনকারী গাড়িগুলো চলাচল থাকবে।
* পন্য বহনকারী ট্রেন কার্গো ফ্লাইট পরিষেবা চালু থাকবে।
* Self employeed services যেমন ইলেকট্রিশিয়ান IT repairs, Plumbers, মোটর মেকানিক এবং কাটের কাজের সাথে যারা যুক্ত তারা কাজ করতে পারবে।
* গ্রামীণ এলাকায় ইটভাট্টা গুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা কাজ করতে পারবে।
*গ্রামীণ এলাকার নির্মাণ কাজ যেমন রাস্তা, সেচের কাজ, বিল্ডিং নির্মাণ, এবং শিল্প প্রকল্পের কাজ এগুলো চালু থাকবে।