বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার সীমান্তে জনতা কার্ফুর ডাক দিলেন
প্রদীপ চক্রবর্তী
অবশেষে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানাল যে কর্মচারীদের বেতনের টাকা দেওয়ার জন্যই দুই বগীর ট্রেনটি সিলেট পাঠানো হয়েছিল। এই কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী। প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়ে সে দেশের রেলমন্ত্রী এই কথা জানিয়েছেন।
সীমান্ত পাড়ের খবর হলো দুই বগীর রেল সিলেট আসছে এ খবর নাকি আগে জানানো হয়নি। হতেও পারে। নিরাপত্তার প্রশ্নে অনেক সময় জানানো হয়না। কিন্তু লকডাউনের সময় রেল আসা। তাও আবার ৬০ জন যাত্রী নিয়ে । তা নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। সবচেয়ে বড় ভয় মারন ভাইরাস করোনা সংক্রমনের। সিলেট তো ত্রিপুরা, কাছাড়ের প্রায় লাগোয়া। এক্ষেত্রে আমাদের উদ্বেগ থাকবেই। এমনিতেই করোনা তান্ডবে বিশ্ববাসী দিশেহারা, কখন করোনা কার উপর থাবা বসায় তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কেননা গতকালই বলা হয়েছে যাদের কোন সর্দি, কাশি, কফ বা শ্বাসকষ্ট নেই তাদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে এরা করোনা আক্রান্ত। ঝুঁকি তো আরো বেড়েই গেল। তা এপার ওপার দুপারেই।
ব্রাক্ষনবাড়িয়ার লক্ষাধিক লোকের জমায়েত ত্রিপুরাকে উদ্বেগে রেখেছে। যদিও পরবর্তীতে প্রায় ৫০,০০০ লোককে কোয়ারেনটাইনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সর্বনাশ যা হবার তাতো হয়েই গেছে।
এরমধ্যেই গত রবিবার ব্রাক্ষনবাড়িয়ার একটি গ্রামে ধান মাড়াই নিয়ে হয়েছে সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সহ প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছেন। সেখানেও একই সংক্রমনের আশঙ্কা।
পরপর কিছু ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সীমান্তে জনতা কার্ফিও এর ডাক দিয়েছেন। এটা রাজ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। দেখা যাচ্ছে রাজ্যের জন্য বাংলাদেশের কিছু কিছু ঘটনা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।